বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবিতে সাংবাদিককে ‘মারধর’ ছাত্রলীগের, তদন্তে কমিটি

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:১১

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‘ভুক্তভোগী’ রেদওয়ান আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইল ও দৈনিক নয়া শতাব্দীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

তার দাবি, বিজয় গ্রুপের এক কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় তাকে রুমে গিয়ে মারধর করেছেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় পরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিন তিনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন কিরা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া ও সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুবকে।

রেজিস্ট্রারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গঠিত তিন সদস্যের কমিটিকে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বলা হয়।

অধ্যাপক মনিরুল হাসান নিউজবাংলকে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

যাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরশিল আজিম নিলয়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব আতিক। তারা দুজনই শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ

শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের এক কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় তাকে রুমে এসে মারধর করেছেন অভিযুক্তরা।

রেদওয়ান আহমদ বলেন, ‘সোমবার বিজয় গ্রুপের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক কর্মীর জন্মদিন ছিল। এ জন্য ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আমার রুমে এসে জিজ্ঞাসা করে আমি জন্মদিনের প্রোগ্রামে যাইনি কেন। আমি জানাই যে, আমি এই রুমে পলিটিক্যাল কর্মী হিসেবে থাকি না। বিজয় গ্রুপের নেতা আল-আমিন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে আমি এই রুমে উঠি, তবে পলিটিক্যাল কর্মী হিসেবে না। আমি মোবাইলে আল-আমিন ভাইয়ের সঙ্গে শোয়েব আতিকের কথা বলিয়ে দিই।

‘এর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে আরশিল আজিম নিলয়, শোয়েব আতিক তারা আবার রুমে আসে এবং জন্মদিনে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। আরশিল আজিম নিলয় বলে, পলিটিক্স না করে কীভাবে হলে থাকি। একপর্যায়ে মারধরের হুমকি দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে নিলয় তার জুনিয়রকে আমাকে মারধর করার নির্দেশ দেয়। পরে শোয়েব আতিক আমাকে নাকে-মুখে কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। একপর্যায়ে আল-আমিন ভাইকে ফোন দিলে এর মধ্যেও আবার কিল-ঘুষি দেয়া শুরু করে। পরে আমি চবি সাংবাদিক সমিতিকে জানালে তারা ও প্রক্টরিয়াল টিম এসে আমাকে উদ্ধার করে।’

অভিযোগকারীর ভাষ্য, ‘মারধরের সময় তারা বলে, পলিটিক্স না করলে এই রুমে থাকতে পারবি না। রুমে থাকলে আবার মারধর করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। আমি এই ঘটনায় প্রক্টর বরাবর রাতেই লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর