ভাষাসৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবদিক রণেশ মৈত্র আর নেই।
সোমবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রণেশ মৈত্র পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রেসক্লাবের বর্তমানসাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাবার মৃত্যুর খবরে তার এক সন্তান অষ্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি পৌঁছানোর পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
দেশবরেণ্য প্রবীণ সাংবদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্রর খবর পাবনায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া।
১৯৩৩ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহী জেলার নহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রণেশ মৈত্র। পৈত্রিক বাসস্থান পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামে। ১৯৫১ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নওবেলাল পত্রিকায় মাধ্যমেই তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু।
সর্বশেষ ১৯৯২ সালে দি নিউ নেশনের মফস্বল সম্পাদক হিসেবে যোগ দেয়ার পর ১৯৯৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দি ডেইলি স্টারের পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। পরে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে দেশের শীর্ষ পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে সারাদেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
১৯৪৮ সালে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রণেশ মৈত্রের রাজনৈতিক জীবন। একই সময়ে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে জেল খেটেছেন তিনি।