বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউএনওর ট্রফি ভাঙার ঘটনা তদন্তে কমিটি

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:২৬

গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে হট্টগোল তৈরি হলে ট্রফি আছড়ে ভেঙে ফেলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।

বান্দরবানের আলীকদমে ফুটবল খেলার পুরস্কার অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভাঙার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠন হওয়া এ কমিটি রোববারের মধ্যেই প্রতিবেদন দেবে। এরপর ইউএনওর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিষয়েও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।

বান্দরবানের ঘটনায় তিনি বলেন, ‘যে কোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রত্যেক ঘটনার প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন কোনো নজির কিন্তু নেই।

‘আমরা বান্দরবানের আগে পেছনে কী ঘটনা ছিলো সেটি কিন্তু জানি না। সুতরাং প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই এটি বলা যাবে।’

অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার জন্য মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক ঘটনার পেছনে পরম্বরা থাকে। সেটি না দেখে না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (মেহরুবা) দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটা তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’

গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ট্রফি ভাঙার ঘটনাটি ঘটে।

ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ইউএনওর বিরুদ্ধে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তার অপসারণ দাবি ও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৭০ মিনিটের খেলায় চূড়ান্ত মীমাংসা হয়নি। খেলা ড্র হয়ে যাওয়ার পর রেফারি টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন।

এতে আবাসিক জুনিয়ার দলকে ৩-১ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, রানার্সআপ হয় রেপারপাড়া একাদশ। খেলা শেষে ইউএনও মেহরুবা ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার সময় পক্ষ-বিপক্ষ দলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও শোরগোল বাধে।

ইউএনও হট্টগোলের কারণ জানতে চাইলে অনেকেই খেলার ফলাফল মানেন না জানিয়ে আবারও খেলার দাবি জানান। তখন ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরপর তিনি খেলার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি দুটি টেবিলের ওপর আছড়ে ভেঙে ফেলেন।

কমিটি প্রশ্ন ফাঁস তদন্তেও

অতিরিক্ত সচিব জানান, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিষয়েও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এসব ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসব ঘটনায় প্রশাসন কখনও চুপ থাক না বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘যেটা বলেছেন বান্দরবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

‘আপনারা জানেন যে, ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর