বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের পতন ঘটিয়ে শাওন হত্যার বদলা: ফখরুল

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:১৭

গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিম। চার দিন পর ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম। এরপর ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান যুবদলকর্মী শাওন প্রধান। শহিদুল ইসলাম শাওন ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে আহত হন। মারা যান পরদিন।

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যুর বদলা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার মাগরিবের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে শাওনের জানাজার সময় দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপি নেতা।

গত জুলাই থেকে বিএনপির নানা কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে যে সংঘর্ষ হচ্ছে তাতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যার সর্বশেষ শিকার শাওন।

গত বুধবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ব্রিজে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত হন শাওন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।

পরদিন জুমার নামাজের পর জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও ময়নাতদন্তে দেরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসে। মাগরিবের নামাজের পর হয় জানাজা। এরপর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি নেতারা।

ধর্মীয় এই আনুষ্ঠানিকতা শেষে শাওনের মরদেহ মুন্সীগঞ্জে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

শাওনের জানাজায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে শাওন হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। শাওন গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শাওনদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। সরকার পতনের মধ্য দিয়ে হত্যার বদলা নেব। এরপর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

জানাজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুও অংশ নেন।

বুধবার মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন যুবদলকর্মী শাওন

গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিম। চার দিন পর ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম। এরপর ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান যুবদলকর্মী শাওন প্রধান।

যুবদলের বিক্ষোভের ডাক

শাওনের জানাজা শেষে যুবদলকর্মীরা একটি মশাল মিছিল বের করে। এতে বিএনপির নেতারাও অংশ নেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে মিছিলে বাধা দেয়।

সংক্ষিপ্ত মিছিল শেষে শনিবার বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপির সহযোগী সংগঠনটি।

মৃত্যুর কারণ মাথায় আঘাত

বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে (ফরেনসিক বিভাগ) শাওনের ময়নাতদন্ত করা হয়। হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল নাঈম এই প্রতিবেদন তৈরি করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপস্থিতিতে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম শহীদ রিপোর্টে উল্লেখ করেন, শাওনের কপালের ডান পাশে রক্তাক্ত গভীর ক্ষত, মাথার ডান পাশে গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। সেখান থেকে মগজ বের হচ্ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর