বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্য মেয়রদের বিদ্যুৎ বিল দেবেন না সাদিক

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৫০

মেয়র সাদিক বলেন, ‘অন্য মেয়ররা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে গেছে। সেই বিল আমি কেন দেবো? সেই বিলের দায় দায়িত্ব তো আমি নেব না।’

বরিশাল নগরীর সড়ক বাতি বন্ধ করে দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে না পারায় এমন পরিণতি।

এ অবস্থায় নগরীর মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘কিছুদিন আগেও পরিশোধ করা হয়েছে বড় অঙ্কের টাকা। তবুও নোটিশ ছাড়া নগরীর সব সড়কবাতি ও পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

বুধবার রাতে নগরীর কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সিটি করপোরেশনের বিপুল বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার জন্য অন্য মেয়রদের দায়ী করেন মেয়র সাদিক।

এ সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ আহম্মেদ, প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু জানান, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মেয়াদে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা রয়েছে ১৫ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ টাকা। তবে এর মধ্যে বিগত পাওনা সহ বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করেছেন ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ২০৭ টাকা।

তবে সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মেয়াদে ২০ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৫ টাকা এবং আহসান হাবিব কামালের মেয়াদে ৪২ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪ টাকা পাওনা ছিল। এর মধ্যে আহসান হাবিব কামাল বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছিলেন ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ১২২ টাকা।

বর্তমানে সিটি করপোরেশনের হিসেব মতে, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ৫৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬ হাজার ৯৪২ টাকা। শওকত হোসেন হিরণের মেয়াদে কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়নি।

লিটু বলেন, ‘নিয়ম রয়েছে যেসব পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আছে এবং তা পরিশোধ না করলে সেসব পৌরসভার সড়ক বাতি ব্যতিত অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যেতে পারে। নিয়ম ভঙ্গ করে সড়কবাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন এবং আমাকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের ২৫ কোটি টাকা দিতে বলেছেন। এখন আমি টাকা কোথায় পাবো? আমাদের লোকাল ফান্ড থেকে ৬৭ কোটি টাকায় সড়কসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আমি আমাদের অভিভাবককে (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ) বলেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।’

তিনি বলেন, ‘অন্য মেয়ররা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে গেছে। সেই বিল আমি কেন দেবো? সেই বিলের দায় দায়িত্ব তো আমি নেব না। আমার মেয়াদে যে বিল হয়েছে, সেটা তো আমি দিচ্ছি। বিল না দিলে আমার অফিসের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেন। কিন্তু জনগণের কেন ভোগান্তি করা হচ্ছে!’

মেয়র জানান, ১৫টি সড়কের বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলা হলেও নগরীর কোনো সড়কের বাতিই এখন জ্বলছে না। ১৬ হাজার সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ১৫টি পানির পাম্পের লাইনও বিচ্ছিন্ন।

মেয়র বলেন, ‘সামনে পূজা। এখন সব মন্দিরে রাতে কাজ চলছে। এমন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা কিসের ইঙ্গিত?’

২৫ কোটি টাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের দেয়ার ক্ষমতা নেই জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি এখন বিদ্যুৎ বিভাগে টাকা দিতে গেলে সামনের মাসে স্টাফদের বেতন দিতে পারবো না।’

এ বিভাগের আরো খবর