তৈরি হচ্ছিল আখের গুড়, কিন্তু সেখানে ব্যবহার করা হয়নি আখ। চিনিসহ আরও কয়েকটি উপাদান দিয়ে গুড় তৈরির অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৮৫৫ কেজি ভেজাল গুড়ও নষ্ট করা হয়।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি এলাকায় বুধবার ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৫-এর সদর কোম্পানি অধিনায়ক নাজলী সেলিনা ফেরদৌসী।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভেজাল গুড় তৈরির খবর পেয়ে র্যাব অভিযানে যায়। অভিযানের সময় দুজনকে জরিমানা করা ছাড়াও ভেজাল গুড় নষ্ট করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, গোপন সংবাদে আড়ানি এলাকার সেকেন্দার আলী ও দুলাল উদ্দিন বাদলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাতে নাতে ভেজাল গুড় তৈরির বিষয়টি ধরা হয়। সেখানে চিনি, চুন, ফিটকিরি, ডালডা ও রং ব্যবহার করে আখের গুড় তৈরি করা হচ্ছিল। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি জানান, সেকেন্দার আলী আগেও একবার একই অপরাধ করার দায়ে জরিমানা দিয়েছিলেন। তখন আর এমন কাজ করবে না বলেও মুচলেকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি তার ভেজাল গুড় তৈরির কারবার অব্যাহত রাখে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে কারখানা দুটি ঘিরে রাখে র্যাব। বুধবার সকালে সেখানে অভিযানে যায় ভোক্তা অধিদপ্তর।
সেকেন্দার আলীর কারখানা থেকে ৫৫৫ কেজি, দুলাল হোসেনের কারখানা থেকে ৩০০ কেজি ভেজাল গুড় এবং গুড় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়।
সেকেন্দারের কারখানা থেকে ৩ কেজি চুন, ১ কেজি কাপড়ের রং, দেড় কেজি ফিটকিরি, ৪ কেজি ডালডা, ৪৫০ কেজি চিনি উদ্ধার করে পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।