কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার ৩ জন হলেন- উপজেলার পশ্চিম হুগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ১৯ বছরের মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে ২৬ বছরের অপু ও মৃত বারেক মিয়ার ছেলে ২৫ বছর বয়সী মোখলেছ।
এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে এক মামলায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা। মঙ্গলবার দুপুরে ৬ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তিনি ওই মামলাটি করেন।
দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বরাতে তিনি জানান, আসামি মিরাজুল ইসলাম মিরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে মিরাজকে কিশোরী জানান, জন্ম নিবন্ধনে বয়স কম থাকায় চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
এ অবস্থায় জন্ম নিবন্ধনে বয়স সংশোধন করে কিশোরীকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখান মিরাজ। এতে রাজি হয়ে সোমবার বিকালে মিরাজের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কিশোরী। পরে তাকে মিরাজ ও তার সহযোগীরা নির্জন স্থানে নিয়ে যান।
এক পর্যায়ে ৫ জন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির পশ্চিম হুগলিয়া এলাকায় ঝোঁপঝাড়ের পাশে ফেলে রেখে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান, মঙ্গলবার গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ৩ নং আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন দিয়েছেন।