বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দোষ চাপাল মিয়ানমার

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:০৩

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয় না। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স ফর টেরোরিজম’ ও ‘বাংলাদেশ নট এ হাব অফ টেরোরিস্ট’ নীতির কথা তুলে ধরেন।

এবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেছে মিয়ানমার। সেখানে দেশটি সীমান্তে গোলা নিক্ষেপে দেশটির সেনাবাহিনী জড়িত নয় বলে সাফাই গেয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিজেদের ফেসবুক পেজেও তুলে ধরেছে নেপিডোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ব্যাখ্যায় সীমান্তে গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা জড়িত বলে মিয়ানমারের দাবির কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছে নেপিডোয় বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস সূত্র জানায়, সোমবার সকালে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেশটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিখা ও ঘাঁটি রয়েছে বলেও দোষারোপের চেষ্টা করেছে। এগুলো দ্রুত গুঁড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছে দেশটি।

তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খণ্ডন করে রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয় না। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স ফর টেরোরিজম’ ও ‘বাংলাদেশ নট এ হাব অফ টেরোরিস্ট’ নীতির কথা তুলে ধরেন।

দূতাবাস জানায়, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তসহ আশপাশের এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমার এবার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসা দায়ী।

তারা বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান ‘আন্তরিক সম্পর্ক’ নষ্ট করার স্বার্থে এই দুই পক্ষ মিলে সীমান্ত এলাকায় চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিউ উইন এমনটা বলেন।

সোমবার রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে এই বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করেছে।

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জ ফিউ উইন বলেছেন, আরসাকে সঙ্গে নিয়ে আরাকান আর্মি গত ১৬ সেপ্টেম্বর তংপিউ (বাম) বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩১ নম্বর সীমান্ত ফাঁড়িতে মর্টারের গোলা দিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলার সময় তিনটি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়েছিল। এর পাশাপাশি আরাকান আর্মি ও আরসা ১৬ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর তংপিউ (ডান) বিজিপির ৩৪ নম্বর সীমান্ত ফাঁড়িতে মর্টারের গোলা নিয়ে পৃথক হামলা চালায়। এ সময় ৯টি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে।’

বৈঠকে জ ফিউ উইন ওই দুটি ঘটনা উল্লেখ করে দাবি করেছেন, আরাকান আর্মি ও আরসা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বিদ্যমান ‘আন্তরিক সম্পর্ককে’ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে হামলাগুলো চালিয়েছে।

বৈঠকে জ ফিউ উইন আরও বলেন, ‘সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার সময় মিয়ানমার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমারের পক্ষ বাংলাদেশ পক্ষকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বাংলাদেশ পক্ষ থেকে পূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও আরসার পরিখা এবং ঘাঁটি রয়েছে— এমন তথ্য গত ৭ সেপ্টেম্বর কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছিল মিয়ানমার।

সোমবারের বৈঠকে আবার সে বিষয়টি তুলে ধরেন জ ফিউ উইন। তিনি ওই ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে তদন্তের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং সেগুলো গুঁড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

পরে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র হস্তান্তর করেন।

এ বিভাগের আরো খবর