সীমান্তে মিয়ানমারের অব্যাহত সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসা শুরু করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য দেশগুলোর দূতরা।
সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে রাষ্ট্রদূতরা আসা শুরু করেছেন, যাদের কাছে অবস্থান তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার ঘটনায় রোববার চতুর্থবারের মতো দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে ঢাকা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির দূত জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মর্টার শেল ছুড়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
তার দাবি, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ চুরি করে বাংলাদেশে গুলি করছে, যাতে করে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়; বাংলাদেশ মিয়ানমারকে অবিশ্বাস করে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খোরশেদ আলম রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
একই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের আচরণ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের দ্বারস্থ হবে বাংলাদেশ।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আসিয়ানের যে রাষ্ট্রদূতরা ঢাকায় আছেন তাদের ডেকে এই ঘটনার ব্র্রিফ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে তাদের আমরা জানাতে পারি। বারবার প্রতিবাদ জানিয়েও মিয়ানমারের সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না।
‘মিয়ানমার এই বিষয়ে যেকোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা চাই না এর পুনরাবৃত্তি ঘটুক। আমরা এসব ঘটনা থেকে কীভাবে মিয়ানমারকে বিরত রাখা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে মিয়ানমার সেনাদের। এই লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমার সেনাদের ছোড়া বেশ কিছু মর্টার শেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।
সর্বশেষ শুক্রবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন।