বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভয় পেয়ে ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ’

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:৩১

রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক শুধু আচরণবিধিই লঙ্ঘন করেননি, নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেন ডা. শাহাদাত।

বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনও তারা একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।’

ডা. শাহাদাত বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের জন্য দোয়া মোনাজাত করছেন। তিনি এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে আবার তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাও দিয়েছেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে বিএনপি-জামায়াতের দোয়াও চেয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি না, উনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, নাকি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি?’

একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক শুধু আচরণবিধিই লঙ্ঘন করেননি, নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেন শাহাদাত। তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিভাগীয় শাস্তিরও দাবি জানান।

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার সারা দেশের প্রশাসনকে প্রশাসন লীগ বানিয়ে রেখেছে। ৬৪ জেলায় ৬৪ জন জেলা প্রশাসক প্রশাসন লীগের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পুলিশ আর প্রশাসন লীগের সহযোগিতায় বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজি মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজি মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, হাজি হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুণ, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হাজি বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমসহ আরও অনেকেই।

এ বিভাগের আরো খবর