ওজোন স্তরের ক্ষয়কে জলবায়ু পরিবর্তনের বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, এর প্রভাব জনস্বাস্থ্যেও পড়ছে।
বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা ‘থটস অ্যান্ড থরো’ আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এনামুর রহমান বলেন, ‘ওজোন স্তর ক্ষয়ের প্রভাবই জলবায়ু পরিবর্তনের বড় কারণ। এখন জনস্বাস্থ্যেও এর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছে। এ নিয়ে এখন কিছুটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তবে বিষয়গুলোকে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং সে মতো কাজ করতে হবে।’
থটস অ্যান্ড থরো এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ইশরাত জাহান দিলরুবার সভাপতিতে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিশিষ্টজনরাও। বক্তারা বলেন, জীবনঘনিষ্ঠ এই ইস্যুগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে এবং সম্ভাব্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ডা. রাফিয়া রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. তাজউদ্দিন শিকদার।
তাজউদ্দিন মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাবের নানা দিক তুলে ধরেন। এ নিয়ে আলোচনা করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. শফিকুর রহমান, ড. তৌফিকুজ্জামান, বারেক কায়সার এবং অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদকদের সংগঠন বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক এডিটর্স গিল্ডের সমন্বয়ক কাজী আজিজুল ইসলাম।