বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ঐক্যবদ্ধ ২৪ দেশের সেনা

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:৩১

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ ২৪টি দেশের সামরিক নেতা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন ২৪টি দেশের সেনাসদস্যরা।

ঢাকার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ বার্তা দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিক যৌথভাবে এ সম্মেলনটি আয়োজন করে।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এতে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ ২৪টি দেশের সামরিক নেতা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জেনারেল শফিউদ্দিন ও জেনারেল ফ্লিন বিদায়ী বক্তব্য রাখেন এবং আইপিএএমএস-২০২২-এ অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।

জেনারেল ফ্লিন বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃঢ় বার্তা পাঠাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৪টি দেশের স্থল বাহিনীর নেতারা এই সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন।’

এই সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন করেন এ কর্মকর্তা।

এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনের পরবর্তী আয়োজক হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কাছে আইপিএএমএসের পতাকা হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষে বাদ্যযন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।

সোমবার ৪৬তম আইপিএএমএসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের এই সম্মেলনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন এতে অংশ নেয়া ২৪টি দেশের সিনিয়র সামরিক নেতারা।

এবারের সম্মেলনে ‘বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এবং ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থল বাহিনীর ভূমিকা’ শীর্ষক তিনটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের একটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজারে। সেখানে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’বিষয়ক একটি গোলটেবিল আলোচনাতেও অংশ নেন ২৪ দেশের সামরিক কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া জুনিয়র নেতারাও পেশাদারিত্বের ওপর আলাদা আলোচনায় অংশ নেন। সম্মেলন শেষে প্রতিনিধি দলটি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্র কুতুপালং ক্যাম্প ঘুরে দেখেন।

সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে আগত অতিথিদের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়।

আইএসপিআর উল্লেখ করেছে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বেগবান হবে এবং এই অঞ্চল তথা বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রকাশ ও সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।

এ বিভাগের আরো খবর