সিরাজগঞ্জ সদরে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আরিফুল ইসলাম এবার স্কুলে ভাঙচুর ও চুরির মামলায় কারাগারে গেলেন।
শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের এসবি রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষককে আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সহকারী শিক্ষক আরিফুলকে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে আগস্টে সাময়িক বহিষ্কার করে ম্যানেজিং কমিটি।
বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বহিরাগতদের নিয়ে স্কুলে হামলা চালিয়ে গেট, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর এবং ফ্যান চুরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মামলায় আরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, সিনিয়র শিক্ষক একরাম হোসেনের সঙ্গে মারমুখী আচরণ এবং পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে ২২ আগস্ট ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মাদ তাকে চিঠি দেন।
তিনি বলেন, ‘বরখাস্তের চিঠি পাওয়ার পরই আরিফুল স্কুলে এসে আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একই আচরণ করেন অন্য শিক্ষকদের সঙ্গেও।
‘সোমবার বেলা ১১টার দিকে বহিরাগত লোকজন ও তার কাছে প্রাইভেট পড়া কিছু ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তিনি লাঠিসোঁটা হাতে স্কুলে হামলা করেন। আরিফুলের নির্দেশে স্কুলের গেট, কক্ষের দরজা, চেয়ার-টেবিলসহ মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় তিনি স্কুলের দুটি সিলিং ফ্যান নিয়ে যান।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পরামর্শে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আমি থানায় মামলা করি।’
সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, শিক্ষক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ফ্যান চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।