কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ৩৭ বছর বয়সী খোকন মিয়া, ৪৩ বছর বয়সী জালাল মিয়া ও ৩৯ বছরের জরিনা খাতুন৷ তারা সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকার বাসিন্দা।
খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার, জালাল মিয়াকে ৩০ হাজার ও জরিনা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে ইমান আলী, কমলা খাতুন, সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম.এ আফজল নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৫ সালে করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের খৈলাকুরী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হেনা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের বন্ধগোমরা এলাকার বাসিন্দা ইমান আলীর ছেলে খোকনের। বিয়ের পর তাদের পরিবারে দুটি মেয়ের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই হেনার ওপর স্বামী খোকনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।
বোনের সুখের চিন্তা করে তাকে একটি দুচালা টিনের ঘর বানিয়ে দেন তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া বোনজামাই খোকনকে ব্যবসার জন্য ৪০ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন পর আবারও যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন তারা। এ সময় হেনা অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর আনুমানিক রাত ২টার দিকে হেনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা। এ ঘটনায় পরদিন রাতে হেনার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।