লালমনিরহাট পৌর এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম নিউজবাংলাকে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে আসামি সামসুল হোসেন বাবলু ও তসলিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহারের বরাতে ওসি জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রতিবেশী হাফিজুল ইসলামের। গত ১ সেপ্টেম্বর কেনাকাটা করতে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে শহরে নিয়ে আসেন হাফিজুল।
মেয়েটি নিউজবাংলাকে বলে, ‘হাফিজুল আমাকে শহরের সেনামৈত্রী মার্কেটে ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের নাবিল পরিবহনের কাউন্টারের ম্যানেজার বাবলুর কাছে বসিয়ে রেখে চলে যায়। পরে হাফিজুল আমাকে ডাকছে জানিয়ে সন্ধ্যায় আমাকে একটি রিকশায় তুলে স্টেডিয়ামপাড়ার একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখে বাবলু। সেখানে বাবলু ও তসলিম আমাকে ধর্ষণ করে।’
মেয়েটি জানায়, এ ঘটনার পর তাকে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে বাসে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে... নাবিলের গাড়িতে ঢাকায় পাঠানোর কথাও স্বীকার করেছে... পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে।
‘তাকে ডাক্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাই। রাতেই এজাহার হিসেবে নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করি।’
এসব ঘটনার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে মেয়েটি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন তার মা।