নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
গণভবনে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন দোরাইস্বামী।
বৈঠকে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে এ অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে উদ্বেগের কিছু বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু আমরা আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করে এগিয়ে যেতে পারি।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে অত্যন্ত সফল হিসেবে আখ্যা দেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং দুই দেশের পরবর্তী প্রজন্ম এ সম্পর্কের সুফল পাবে বলেও বিশ্বাস করেন দোরাইস্বামী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রতিকৃতি তার হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন ভারতের দূত। বিপরীতে হাইকমিশনারকে একটি বই, শাড়ি এবং নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বিক্রম দোরাইস্বামী।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ঐতিহাসিক।
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে উল্লেখ করে আগামীতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।