নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে বুধবার ভোরে সাড়াশি অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন শহরের কানাইখালী মহল্লার রনি মিয়া, রকি ও সোহান। এ ছাড়া এ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকে আটক করা হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দীন নিউজবাংলাকে এসব জানান। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনাটি ঘটেছে শহরের হাফরাস্তা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধুর বিয়ের কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান।
‘তারা রনি, রকি ও সোহানকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে সংঘবদ্ধভাবে ওই ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও করে। পরবর্তী সময়ে তাদের টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ও তার প্রেমিককে ছেড়ে দেয়। পরে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে তারা অভিযোগ করে।’
এসআই জানান, ঘটনার খবরে সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয় নাটোর থানা পুলিশ৷ বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে ওই অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে। মঙ্গলবার রাতেই এ ঘটনায় সহযোগী স্বামী-স্ত্রীকে শহরের হাফরাস্তা থেকে আটক করা হয়। অন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এসআই জামাল বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযানে নামি। ঘটনার পরে শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।’
ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।