বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুয়েট শিক্ষার্থীকে পেটাল ছাত্রলীগ, পুলিশে দিল প্রশাসন

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০৭

কুয়েটের ড. এম এ রশিদ হলের প্রভোস্ট এম ডি হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে জাহিদুর। এটা নজরে আসায় হলের ছাত্ররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে আমরা তাকে পুলিশে দেই।’

মোবাইল অ্যাপসে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারবিরোধী তথ্য আদান-প্রদানের অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে মারধর করেছেন ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

পরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে কুয়েট প্রশাসন।

সোমবার কুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাদেক হোসেন প্রামাণিক খানজাহান আলী থানায় ওই মামলাটি করেন।

সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুর বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জাহিদুরকে জঙ্গি ও সরকারবিরোধী আখ্যা দিয়ে মারধর করে প্রভোস্টের কক্ষে আটকে রাখে হলের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল যাচাই করে আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সরকারবিরোধী এবং মানহানিকর মিথ্যা ও আক্রমণাত্মক তথ্য আদান-প্রদান করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।

তবে জাহিদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টায় ড. এম এ রশিদ হলের অতিথি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জাহিদকে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে রাত ১১টা পর্যন্ত নির্মমভাবে পেটায় তারা। পরে ওই রাতেই পুলিশ তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

খানজাহান আলী থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘জাহিদুর ও রেজওয়ান স্যামের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে কুয়েট ছাত্রদের মধ্যে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। জাহিদুর কুয়েট ও স্যাম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।’

জানা গেছে, শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান ভোলা তজুমুদ্দিন সোনাপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। মামলার অন্য আসামি রেজওয়ান স্যাম ভোলার বোরহানউদ্দিন মুশির হাট গ্রামের বাসিন্দা।

জাহিদের বড় ভাই নাঈম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা সত্য নয়। আমার ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। সে কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়।’

তিনি বলেন, ‘সে যদি অপরাধ করেও থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাররা আছেন, হল প্রভোস্ট আছেন- তারা বিচার করবেন। তাকে এভাবে নির্মমভাবে পেটাবে কেন?’

এ বিষয়ে কুয়েটের ড. এম এ রশিদ হলের প্রভোস্ট এম ডি হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে জাহিদুর। এটা নজরে আসায় হলের ছাত্ররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে আমরা তাকে পুলিশে দেই।’

এ বিভাগের আরো খবর