বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে আমজাদ খান নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
হত্যার ১০ বছর পর মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তপন রায় আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। এ সময় আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
৪০ বছর বয়সী আসামি আমজাদ খানের বাড়ি কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী উত্তরপাড়া গ্রামে। আয়না বেগম একই উপজেলার গাবরখালি এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে। খুন হওয়ার সময় আয়নার বয়স ছিল ১৭ বছর।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কচুয়ার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের সুপারি বাগান থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন কচুয়া থানায় এ ঘটনায় এজাহার দেন কচুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিয়ারব হোসেন।
পরে কিশোরীর পরিচয় শনাক্ত ও হত্যাকারীকে ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আমজাদ খানকে আটক করে।
২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আমজাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় আদালতে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ খান জানান, ওই কিশোরীর নাম আয়না বেগম। মোবাইল ফোনে আয়নার সঙ্গে তার পরিচয়। বিয়ে করার শর্তে আয়নার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন আমজাদ। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয় কিশোরী। স্ত্রী-সন্তান থাকায় আমজাদ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। ঘটনাটি জানাজানির আগেই আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আমজাদ।
১২ জনের সাক্ষ্যে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত আমজাদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সীতা রানী দেবনাথ আর আসামি পক্ষে বিধান চন্দ্র রায়।