কক্সবাজারে ২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে ২৪ দেশের উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তার অংশগ্রহণে ‘ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট’ সেমিনার শেষে তারা সোমবার ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে আবারও শুরু হয় সেমিনার। এতে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সোমবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেমিনারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪৬তম আইপিএএমএসের তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
সোমবার সেমিনার শেষে বেলা ১১টার দিকে ২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প-৪ পরিদর্শন করেন। পরে তারা ট্রানজিট ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট হলো অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম। আইপিএএমএস-এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।