কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মহাসমারোহে চলছিল মা সমাবেশ। প্রধান অতিথি ইউএনও।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিরণ বৈদ্য বলেন, ‘আমরা স্কুলটিকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগীতা চাই।’
এ কথার সূত্র ধরেই প্রধান অতিথি ইউএনও শুভাশিস ঘোষ উপস্থিত অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিদ্যালয়টিকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি সব সহযোগিতা করবো। আপনারা যেকোনো সমস্যা আমাকে জানাবেন।’
ইউএনওর কথার মধ্যেই উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘আমরা শুধু লেখাপড়া না, গানও শিখতে চাই। আমাদেরকে একটি হারমোনিয়াম দেন।’
সপ্তাহ দুয়েক আগের ওই অনুষ্ঠানে ইউএনও শিক্ষার্থীদের কথা দিয়েছিলেন, তিনি তাদের একটি হারমোনিয়াম কিনে দেবেন।
সোমবার দুপুরে রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে সেই হারমোনিয়াম তুলে দেন ইউএনও। গান শেখার সরঞ্জাম পেয়ে বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিক্ষার্থীরা।
রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘ইউএনও মহোদয় শিক্ষার্থীবান্ধব। প্রায়ই স্কুলের খোঁজ খবর নেন। সেদিন মা সমাবেশে এসে শিক্ষার্থীদের কথা দিয়েছেন- হারমোনিয়াম কিনে দেবেন। আজ নিজেই সেই হারমোনিয়াম দিয়ে গেলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব উৎসাহিত হয়েছি।’
প্রধান শিক্ষক জানান, হারমোনিয়াম পাওয়ার পরই পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ে একটি সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে একজন শিক্ষিকাও সানন্দে এই ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়লেই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবে। একজন শিক্ষার্থীর মেরুদণ্ড তৈরি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাই শুধু লেখাপড়াই নয়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হবে। সেই সুযোগটা আমাদেরকেই তৈরি করে দিতে হবে।’