পারিবারিক কলহের জেরে গাইবান্ধায় ঘুমন্ত স্বামীর গায়ে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবানা বেগম নামে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এতে মোস্তাফিজুর রহমান রিপনের শরীর ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে।
রোববার বিকেলে রিপনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা শহরের সুখনগর এলাকায় রিপনের বাড়িতে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রিপন পেশায় বাসচালক।
এ বিষয়ে রিপনের মা জোবেদা বেগম জানান, ১৬ বছর আগে রিপনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাবানার। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। কিছুদিন ধরে রিপন-সাবানার মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। শনিবার রাতে ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরলে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
তিনি জানান, এদিন রাতের খাবার খেয়ে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। ভোররাতে সাবানা পাতিলভর্তি পানি গরম করে ঘুমন্ত রিপনের শরীরে ছুড়ে মারেন। এর পরই তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
রিপনের চিৎকারে তার মাসহ প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিকেলে তাকে রংপুর মেডিক্যালে পাঠান চিকিৎসক।
জোবেদা বলেন, ‘ভোররাতত বউ গরম পানি চুলেত দিছে। হামি কনো পানি কী করবে; বউ কথা কয় না। পরে দেখম মোর ছোলের গায়ত সেই পানি ঢালিল।’
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার তানভীর রহমান বলেন, ‘সকালের দিকে রিপন নামে এক রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার চোখ, মাথাসহ শরীরের ৪০ শতাংশ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রিপনকে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সাবানা পলাতক রয়েছেন।’
পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা পুলিশের এ কর্মকর্তার।