বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের কটূক্তির প্রতিবাদে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ বিশাল জনসভায় পরিণত হয়। এ সময় জেলা শহরের মাইজদী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে মফিজ প্লাজা পর্যন্ত প্রধান সড়কটিতে হাজারও মানুষের ঢল নামে। জনসভার কারণে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুদ্দিন জেহানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শোকের মাসে অশ্লীল কটূক্তি করেছে, আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমি সিঙ্গাপুর থেকে ছুটে এসে এই প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। আজ প্রতিবাদ সভা বিশাল জনসভায় পরিণত হয়েছে। এক লাখের বেশি মানুষ আমার ডাকে সাড়া দিয়েছে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্পিকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুল মালেক উকিলের ছোট ছেলে বাহাউদ্দিন খেলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের, জেলা জজকোর্টের পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল, সাবেক পিপি কাজী শাহিন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, কমিশনার ফখরুদ্দিন, অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোরসহ আরও অনেকেই।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলা শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকল্প সড়কে আন্তজেলা বাস-মিনিবাস চলাচল করেছে বলে জানান নোয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি ডিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে ছিলেন।