বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাগরে ৯ ট্রলারে ডাকাতি, ১২ ‘জলদস্যু’ আটক

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:২৭

‘তাদের কাছ থেকে একটি বোট, তিন হাজার ইলিশ, মাছ ধরার বড় জাল, তিনটি ওয়ান শুটারগান, একটি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, একটি বাইনোকুলার, চারটি টর্চলাইট, দুটি চার্জলাইট, দুটি হ্যান্ডমাইক, ৭০টি মোবাইল সেট ও ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।’

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের ৯টি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ১২ জলদস্যুকে আটক করেছে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার।বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন দস্যু সর্দার আনোয়ার, লিয়াকত, মনির, আবুল খায়ের, নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, আতিক, এমরান ও আমানউল্লাহ।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৭ আগস্ট সাগরে ৯টি বোটে ডাকাতির পর তদন্তে নামে র‌্যাব। একপর্যায়ে আমাদের দুটি দল ও র‍্যাব সদরের একটি গোয়েন্দা দল সাগরে অভিযানে যায়। বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে ১২ জলদস্যুকে আটক করা হয়।

‘তাদের কাছ থেকে একটি বোট, আনুমানিক তিন হাজার পিস ইলিশ, মাছ ধরার বড় জাল, তিনটি ওয়ান শুটারগান, একটি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, একটি বাইনোকুলার, চারটি টর্চলাইট, দুটি চার্জলাইট, দুটি হ্যান্ডমাইক, ৭০টি মোবাইল সেট ও ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সম্প্রতি তারা সাগরে গিয়ে মাছ না পেয়ে ফিরে আসেন। এতে তাদের মালিক আনছার মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে সাগরে মাছ কম পেলে ডাকাতি করে মাছ নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। এই কাজে আনছার মেম্বার নিজের ছেলে আনোয়ারকে সর্দার বানিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সাগরে তাদের পাঠান। তারা আগে-পরে ১৬টি বোটে ডাকাতির কথা জানিয়েছেন।’

আটক সবার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

২৭ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে হানা দিয়ে কোটি টাকার ইলিশ লুট করে জলদস্যুরা। শুরুতে ৯টি ট্রলারে ডাকাতি হলেও বৃহস্পতিবার জলদস্যুরা আরও সাত ট্রলারে হানা দিয়েছিল।

প্রথম দফায় ৯ ট্রলারে ডাকাতির পর ফিশারিঘাট মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে পাঁচ দিন মাছ ধরে ২৬ আগস্ট রাতে ঘাটে ফিরছিলেন জেলেরা। এ সময় হাতিয়া ও সন্দীপের মাঝামাঝি কালিরচর এলাকায় (কুতুবদিয়া চ্যানেলে) একে একে ৯টি ট্রলার আটকে প্রায় ৫০ হাজার মাছ, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা৷ ৯ ট্রলার থেকে লুট হওয়া ইলিশের দাম অন্তত ১ কোটি টাকা।’

ডাকাতি শেষে ডাকাতরা ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দস্যুরা ডিজেলও নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর