মেহেরপুরের গাংনীতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার চৌগাছা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিশাত তাসনিম ঊর্মির মৃত্যু হয়। বিষয়টিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
পরে গৃহবধূ ঊর্মির বাবার করা লিখিত অভিযোগ পেয়ে স্বামী আফাকুজামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে শুক্রবার বিকেলে আটক করেছে পুলিশ।
২৫ বছর বয়সী গৃহবধূ নিশাত তাসনিম ঊর্মি গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে। একই উপজেলার চৌগাছা গ্রামের প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তাদের এক সন্তান আছে।
আটকের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঊর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়ার অভিযোগ, তার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য অনুমতি দিয়েছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে গৃহবধূকে তার বাবার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে বাদ আসর দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গৃহবধূর স্বামী প্রিন্স ঊর্মি খাতুনকে চিকিৎসার জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভোর ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
মৃত গৃহবধূর বাবা জানান, তার জামাই প্রিন্স মাদকাসক্ত। তা ছাড়া বিয়ের পর থেকে ঊর্মিকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করত। গতকাল রাত ১১টার দিকে প্রিন্স ফোন করে তাদের জানায় ঊর্মি অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।