বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিপিবির সমাবেশে হামলার অভিযোগ, পুলিশ বলছে সংঘর্ষ

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:১২

দিবালোক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওলামা লীগ ও শ্রমিক লীগের ক্যাডারদের পাশাপাশি থানা পুলিশও নির্বিচারে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা এবং লাঠিচার্জ করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় দলীয় সমাবেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ সময় আহত হয়েছেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সদস্য ডা. দিবালোক সিংহসহ অন্তত ৩০ জন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান জানান, হামলা নয়, সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।

কলমাকান্দা উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

সিপিবি সদস্য দিবালোক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং স্থানীয় থানা পুলিশ দুই দফায় এ হামলা চালিয়েছে। এতে সিপিবির পূর্বনির্ধারিত ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।’

তিনি জানান, জ্বালানি তেল, সার, দ্রব্যমূল্য ও যানবাহনের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় এই সমাবেশের আয়োজন করে সিপিবির উপজেলা শাখা। সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওলামা লীগ ও শ্রমিক লীগের কর্মীরা এসে হামলা চালায়। তারা মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে, নেতাকর্মীদের মারধরও করে।

দিবালোক অভিযোগ করেন, এরপর আবার পুলিশ এসে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও লাঠিচার্জ করে। পুরো ঘটনায় তিনি ও রুহিনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে সিপিবি কর্মী দ্বীন ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম সায়েমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

দিবালোক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওলামা লীগ ও শ্রমিক লীগের ক্যাডারদের পাশাপাশি থানা পুলিশও নির্বিচারে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা এবং লাঠিচার্জ করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

কলমাকান্দা থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘সিপিবি কোনো অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করছিল। সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ থামাতে লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর