বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মই দিয়ে ডিভাইডার পারাপার: অর্ধশত পরিবহনের নামে মামলা

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:০৩

সাভার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়িগুলো সার্ভিস লেনে ঢোকার কথা, সেই গাড়িগুলো সার্ভিস লেনে না ঢুকে ডিভাইডারের ভেতর পাশে সড়কে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। তখন যাত্রীরা কোথায় যাবে কোনো দিশা পাচ্ছে না। এ সময় অনেকদূর হেঁটে যেতে হবে- এ কারণে তারা সড়ক বিভাজন টপকে পার হচ্ছেন।’

ঢাকার সাভারে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ডিভাইডার পারাপারের সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দিনভর অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর সড়ক পারাপারে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে ‘ডিভাইডারে মই বসিয়ে রাস্তা পারপার’ শিরোনামে ভিডিও এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা।

প্রতিবেদনে সাভার বাসস্ট্যান্ডে অন্তত ১০টি স্পটে প্রতি পাঁচ মিনিটে অসংখ্য মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কারণ হিসেবে লোকাল পরিবহনগুলো সার্ভিস লেনে প্রবেশ না করে ডিভাইডারের ভেতরে মূল সড়কে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়াকে দায়ী করেন সাধারণ মানুষ।

ওয়েলকাম পরিবহনের মালিকপক্ষের একজন জিএম মিন্টু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সার্ভিস লেনে গাড়িগুলো না ঢোকার কারণ হলো ঢাকামুখে লেগুনা দাঁড়িয়ে থাকে। রিকশা, মোটরসাইকেল ভুল সাইড দিয়ে আসে। এ ছাড়া সার্ভিস লেনে গাড়ি যাত্রী নিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময় দেরি করার কারণে যানজট লাগে। কারণ অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। তখন সার্ভিস লেনে বাস ঢুকালে সাভার পার হতেই এক-দেড় ঘণ্টা বেশি সময় নষ্ট হয়। আসলে সার্ভিস লেনটা ক্লিয়ার রাখলে বাসগুলো মূল সড়কে যাত্রী নামাবে না।’

সাভার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অভিযানটা শুরু করি সকালে। বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালানোর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা হয়নি। সমস্যাটা হচ্ছে যে গাড়িগুলো সার্ভিস লেনে ঢোকার কথা, সেই গাড়িগুলো সার্ভিস লেনে না ঢুকে ডিভাইডারের ভেতর পাশে সড়কে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। তখন যাত্রীরা কোথায় যাবে, কোনো দিশা পাচ্ছে না। এ সময় অনেকদূর হেঁটে যেতে হবে- এমন কারণে তারা সড়ক বিভাজন টপকে পার হচ্ছেন।

‘এই সমস্যাগুলোর কারণে আমরা গাড়িগুলোকে আটক করে মামলা দিচ্ছি। আবার সার্ভিস লেনের ভেতরে যে গাড়িগুলো দ্রত যাত্রী নামিয়ে চলে যাওয়ার কথা, তারা গাড়ির পেছনের অংশ বাঁকা করে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে, সেই গাড়িগুলোর বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রায় অর্ধশত বাসকে মামলা দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম আমাদের আজ থেকে শুরু হয়েছে। এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস।’

যাত্রীদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পাশাপাশি যেসব যাত্রী সড়ক বিভাজন টপকে পার হচ্ছেন তাদের আমরা যতটুকু সম্ভব সচেতন করছি, যাতে তারা মূল সড়কে গাড়ি থেকে না নামে। গাড়িগুলোকে সার্ভিস লেনে ঢুকিয়ে তাদের নিরাপদে নামাতে বাধ্য করে।’

এ বিভাগের আরো খবর