বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রতিবেশী কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসামি মহিউদ্দীন হাওলাদারকে। ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মামলায় নাম আছে মহিউদ্দীনের স্ত্রী সাথী বেগমেরও। তবে তিনি পলাতক।
মহিউদ্দীনকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কচুয়া থানায় রোববার রাতে ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের মামলা করেন। রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার নিশ্চিত করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহামুদ হাসান।
ওই কিশোরীকে সোমবার সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
এজাহারের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা মাহামুদ জানান, পাশের বাড়ির কিশোরীকে প্রায় এক মাস আগে ঘরে ডেকে নেন সাথী। সেখানে তার স্বামী মহিউদ্দীন মেয়েটিকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণ করেন। কাউকে এসব না জানাতে হুমকি দেন। বাড়ি ফিরে ঘটনা জানালে সম্মানহানির ভয়ে মেয়েকে খুলনায় আত্মীয়র বাড়ি পাঠিয়ে দেন বাবা।
এজাহারে আরও বলা হয়, খুলনা গিয়ে মেয়েটিকে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করেন মহিউদ্দীন। গত ১৫ আগস্ট রূপসা এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা।