নেত্রকোণার আটপাড়ায় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ একই স্থানে কর্মসূচি ডাকায় দুটোই স্থগিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের কর্মসূচি অন্য স্থানে গিয়ে পালন করেছে।
উপজেলা সদরের বানিয়াজান এলাকায় রোববার দুপুরে দুটি কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে একটি বিএনপির সম্মেলন এবং আরেকটি বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ডাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ।
ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘একই স্থানে দুই দল সম্মেলন বা সমাবেশ করলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই আমরা দুই দলের নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধান করেছি। ১৪৪ ধারা জারি করার প্রয়োজন পড়েনি।’
আটপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুম চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা সদরের বানিয়াজান এলাকায় রোববার দুপুরে আটপাড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। এ সম্মেলনের তারিখ অনেক আগেই নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণসহ সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছিল।
‘সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, একই স্থানে স্বেচ্ছাসেবক লীগও প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছে। তাই প্রশাসনের নিষেধে বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।’
আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বানিয়াজান এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছিল। পরবর্তীতে বিএনপিও একই স্থানে সম্মেলন আহ্বান করে।
‘স্থানীয় প্রশাসন দুই পক্ষকে একই স্থানে কর্মসূচি পালনে নিষেধ করলে আমরা আলাদা স্থানে, দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করি।’
খায়রুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি আসলে সম্মেলনের নামে আটপাড়ায় অরাজকতা ও সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, ‘বিএনপির সম্মেলন বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগকে দিয়ে এ সমাবেশ ডেকেছে। এর আগের দিন তারা বারহাট্টাতেও মঞ্চে আগুন দিয়ে বিএনপির সম্মেলন পণ্ড করে দিয়েছে।
‘আমরা সরকারি দলের এমন অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’