রাজধানীর বনানীতে সামাহ রেজার ব্লেডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক সেলিম সাত্তারের বাসায় অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
রোববার বিকেলে ১১ নম্বর সড়কের ৭৭ নম্বর বাড়ির একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ এবং সেলিম সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাট থেকে কয়েকটি মূর্তিও উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পুরনো মৃৎশিল্প।
ডিএনসি জানায়, আটক সেলিম বাংলাদেশ ও সুইডেনের দৈত নাগরিক। তিনি বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটেই অবৈধ মিনিবার চালাচ্ছিলেন। এখানে বিভিন্ন ব্যক্তি এসে মাদক সেবন করতেন। আর সেলিম তাদের কাছে মাদক বিক্রি করতেন। তবে তার মাদক বিক্রি ও সেবনের জন্য লাইসেন্স নেই।
বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ৩০ গ্রাম কোকেন, ১৮৫ পিস এমডিএমএ (এক্সটাসি), ২০ বোতল বিদেশি মদ, ২৯ ব্লটার এলএসডি, ৩০০ গ্রাম গাঁজা, ৫ গ্রাম আইস, ৭০০ গ্রাম সীসা, সীসা সেবনের ২টি হুকা, ১৬০ গ্রাম করে ওজনের ১০টি গাজার কেক জব্দ করা হয়।
অভিযানের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএনসির উপ-পরিচালক (উত্তর) মো. রাশেদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘সেলিম সাত্তারের বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকের পাশাপাশি মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। সেলিম সাত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশ ও সুইডেনের দ্বৈত নাগরিক। বিভিন্ন সময়ে বিদেশে যাতায়াতের মাধ্যমে তিনি এসব মাদক সংগ্রহ করতেন। ফ্ল্যাটটি তার নিজস্ব। উদ্ধার হওয়া মাদক তিনি নিজে ব্যবহার ও বিক্রি করে আসছিলেন।’
এই মিনি বারে কারা আসতেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘সাত্তারের বন্ধুবান্ধবসহ অনেকেই এখানে আসতেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মাদক বিক্রি করতেন।
‘বাসাটিতে আটক সেলিমের স্ত্রী ও গৃহকর্মীসহ চারজন থাকতেন। মাদকের সঙ্গে সেলিমের স্ত্রীর কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি বলে তাকে আটক করা হয়নি।’
জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম সাত্তার জানান, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে এলএসডি ও এক্সটাসি, স্পেনের বার্সেলোনা থেকে কোকেন, আমেরিকা থেকে কুশ (সিনথেটিক গাঁজা), আইস ও ক্যানাবিস চকলেট আনতেন। আর বিদেশি মদ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করতেন।
আটক সাত্তারের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা।