বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৩২

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমার কোলে মারা গেছে শাওন। ওর বুকে গুলি করেছে পুলিশ। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ র‍্যালি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেয়নি। তারা কার ইন্ধনে আজকে আমাদের উপর আক্রমণ করল?’

নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এস কে ফরহাদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। তাদের দাবি, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ তাদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বঘোষিত সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার চুনকা পাঠাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন মহানগর বিএনপিসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল বের করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন তারা।

কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশবক্স ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে। এতে যুবদলকর্মী শাওন বিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এস কে ফরহাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাওনকে হাসপাতালের আনার আগেই মারা গেছে। তার মরহেদ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’

নিহত ২১ বছরের শাওন ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহেব আলীর ছেলে। ওই এলাকার যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান রনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাওন সকালে এনায়েত নগর এলাকা থেকে কর্মসূচিতে যায় মিছিল নিয়ে। সেখানে কর্মসূচিতে পুলিশ আক্রমণ চালিয়েছে। শাওন গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা গেছে।’

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমার কোলে মারা গেছে শাওন। ওর বুকে গুলি করেছে পুলিশ। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ র‍্যালি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেয়নি। তারা কার ইন্ধনে আজকে আমাদের উপর আক্রমণ করল?’

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সড়কে নেমে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে প্রথমে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু তারা বাধা উপেক্ষা করে পুলিশের ওপর ইটপাকেল নিক্ষেপ করে। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

‘এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপির লোকজনের ইটপাকেলে অন্তত ২৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। দুপুর ১টা থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’

এ বিভাগের আরো খবর