বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতাল থেকে তিন দিন পর বাসায় খালেদা জিয়া

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ২১:৪৮

গত রোববার স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেদিনই তার শারীরিক বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তিন দিন পর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের বাসায় পৌঁছান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেদিনই তার শারীরিক বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

খালেদা জিয়া ভালো বোধ করায় রিলিজ দেয়া হয়েছে: ডা. জাহিদ

শারীরিকভাবে ভালো বোধ করায় হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে রিলিজ দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বাসায় থেকেই নেত্রীর পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে। বাসায়ও তিনি মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন।

বিএনপি প্রধান বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরার পর তার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাহিদ।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘হাসপাতালে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড ম্যাডামের চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। আপাতত শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বোর্ড তাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দিয়েছে।

‘হাসপাতালের ছাড়পত্রে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিকভাবে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। আজ একটু বেটার ফিল করায় আপাতত তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ডা. আল মামুন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে ওই বছরের অক্টোবরে। একই সপ্তাহে বিচারিক আদালতে ঘোষিত হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা, যাতে সাত বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

১৭ বছরের সাজা নিয়ে বিএনপি নেত্রীর জামিনের আবেদন যখন বার বার উচ্চ আদালত নাকচ করছিল, তখন ২০২০ সালের মার্চে করোনা হানা দেয় দেশে। সে সময় বিএনপি নেত্রীর পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে গেলে তিনি তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করলে ২৫ মার্চ মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। এরপর আরও চার দফায় বাড়ানো হয় সাময়িক মুক্তির মেয়াদ।

এ বিভাগের আরো খবর