নিভৃত জনপদেও সরকারের পতন দাবিতে উত্তাল জনস্রোত দেখে শেখ হাসিনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'পুলিশ এবং তার দলীয় সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে মিছিলে এবং বাড়িতে নারকীয় হামলা করেও গণবিদ্রোহ ঠেকাতে পারছে না। এখন পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘চারদিকে দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার আর বিনা ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন। অশালীন অশ্রাব্য ভাষায় কটুকথা বলেন। উদ্ভট সব তত্ত্ব-তথ্য হাজির করেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে প্রতিহিংসাপরায়ণতা যেন তার মুখ দিয়ে উদগিরণ হচ্ছে। তার ক্রোধের কারণ হলো আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনে টিকে থাকার সমস্ত সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে গেছে।’
রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন বিরোধী দলের অন্তত ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সর্বহারা পার্টির শীর্ষ নেতা সিরাজ শিকদারকে গুম, অপহরণ এবং হত্যা করে পার্লামেন্টে হুঙ্কার দেয়া হয়েছে 'কোথায় আজ সিরাজ শিকদার। ইতিহাস সাক্ষী, গুম, অপহরণ আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। ৭৩-এর জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির সাক্ষীদের কেউ কেউ এখনো বেঁচে রয়েছেন।
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুনরায় সেই আওয়ামী লীগকেই বাংলাদেশে স্বনামে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে স্বনামে রাজনীতি করার সুযোগ করে না দিলে হয়তোবা স্বাধীনতার ঘোষককে অকালে জীবন দিতে হতো না।
'আয়নাঘরে'র ভয়ে প্রকাশ্য প্রতিবাদ না হলেও জনগণের কাছে শেখ হাসিনার কথার গুরুত্ব আসলেই রয়েছে কি না এটি সময়ই বলে দেবে।’