জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে গেলে এনআইডি ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে ইন্টার রিলেশন (আন্তসম্পর্ক) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ ইসির অধীনে রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান কমিশন সন্তুষ্ট হলে সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কিছু আলাপ করবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে স্মারকলিপি দেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে এনআইডি নেয়ার জন্য আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসেছিলেন।
‘আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৫ বা ১৮ বছর ধরে এনআইডির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মাধ্যমেই এনআইডি উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ভোটার তালিকার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত বলেও তারা মনে করছেন। এখন তা অন্য সংস্থার কাছে চলে গেলে নির্ভরশীলতার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিষয়টি যেন আমরা সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে নেই। ওনাদের চাহিদা হচ্ছে এতোদিন এনআইডি যেভাবে ছিল সেভাবেই যেন থাকে।’
সিইসি বলেন, ‘তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছি, এটার সঙ্গে সায়েন্টিফিক ও টেকনিক্যাল বিষয় আছে। আমি কিছুটা বুঝি, অনেকটাই বুঝি না। ওনাদের সঙ্গে বসে আরও ভালো করে বুঝব। যদি আমরা কনভিন্সড হই যে এনআইডিটা আমাদের এখানে থাকলেই ভাল হবে তাহলে এনআইডি সার্ভিস যেমন পাচ্ছে ওরা আগের মতোই পেতে থাকবে।
‘তবে আমাদের এখান চলে গেলে এনআইডি ও আমাদের মধ্যে যে একটা ইন্টাররিলেশন সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে যদি কনভিন্সড হই, তাহলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কিছু আলাপ করব।’
ইভিএমে ভোট নিতে হলে এনআইডি ডাটাবেজ প্রয়োজন, ভোটার তালিকার বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেও এনআইডি; কাজেই আপনার কী মনে হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সরকার অবশ্যই এসব বিষয় ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে। আমাদের দিক থেকে যদি কোনও পয়েন্ট থাকে যে এটা আমাদের জন্য সুবিধা হবে, তাহলে সেটা অবশ্যই আমরা সরকারকে বলতে পারি।’