বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সালাম দিয়ে পথরোধ করে লুটে নেয় ‘সালাম পার্টি’

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ১৬:৪৭

ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, রাজধানীতে নতুন উপদ্রপের বিষয়টি দেখা গেছে। চক্রের সদস্যরা ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে টার্গেট ব্যক্তিকে সালাম দিয়ে পথে আটকায়। সাধারণত সালাম দিলে পরিচিত ভেবে মানুষজন একটু থামে, চক্রের সদস্যরাও তাদের থামিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

টার্গেট করা ব্যক্তিকে চলতি পথে সালাম দিয়ে গতিরোধ করে পরিচিত হওয়ার ভান করে সময়ক্ষেপণ করে। এর মধ্যেই আশপাশে ঘাপটি মেরে থাকা আরও কয়েকজন এসে ঘিরে ধরে। কখনও হুমকি দিয়ে, আবার কখনও ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করে নেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তারা ‘সালাম পার্টি’ নামে পরিচিত।

গত ২১ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনের সামনে সালাম দিয়ে পথ আটকে লুৎফর রহমান নামে একজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এই পার্টির সদস্যরা।

এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সালাম পার্টির দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন মো. পিন্টু মিয়া ও মো. সুমন।

বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালাম পার্টির সদস্যদের কথা জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বলেন, রাজধানীতে নতুন উপদ্রপের বিষয়টি দেখা গেছে। চক্রের সদস্যরা ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে টার্গেট ব্যক্তিকে সালাম দিয়ে পথে আটকায়। সাধারণত সালাম দিলে পরিচিত ভেবে মানুষজন একটু থামে, চক্রের সদস্যরাও তাদের থামিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

আশপাশে তাদের অন্য সদস্যরা ঘাপটি মেরে বসে থাকত। তখন তারাও এসে টার্গেট ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে সঙ্গে যা আছে দিয়ে দিতে বলে। হুমকি দিয়ে কাজ না হলে অস্ত্র আছে বলে ভয়ভীতি দেখায়। এভাবে টার্গেট ব্যক্তির সবকিছু নিয়ে সটকে পড়ত তারা।

ডিসি বলেন, ‘যেহেতু তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকত না, সাধারণ মানুষের মতোই ঘোরাফেরা করত। তাই তাদের চিহ্নিত করে গ্রুপটিকে ধরা কঠিন ছিল। যেহেতু তাদের সঙ্গে কোনো আলামত নেই।’

লুৎফর রহমানের করা মামলার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, মঙ্গলবার কারওয়ানবাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে র‍্যাব সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা মো. এনায়েত শেখ ও আব্দুর রহমান মুন্সি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের সঙ্গে ওয়াকিটকি থাকত এবং নিজেদের র‍্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দিত বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘তারা কারওয়ানবাজার মাছের আড়তে শ্রমিকদের কাছে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিষয়টি শ্রমিকরা পুলিশকে জানালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’

এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আজিমুল হক বলেন, ‘পথে কেউ সালাম দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে চাইলে যেন এ বিষয়ে সতর্ক থাকেন সবাই। কোনোভাবেই দাঁড়ানো যাবে না বা এমন হলে পুলিশকে বিষয়টি জানাবেন।’

অনেক প্রতারক ওয়াকিটকি সঙ্গে রেখে নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এ বিষয়েও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর