বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভিএম নিয়ে ইসির চ্যালেঞ্জে যাবেন না বদিউল

  •    
  • ৩০ আগস্ট, ২০২২ ১৯:১৫

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার দাবি করেছেন, ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। এরপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে এই বিষয়টি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ করে বলা হয়েছে, তাহলে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল হবে। তবে সুজন সম্পাদক ইসির এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে বদিউল আলম মজুমদার। তার একটি উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনকে এই পদক্ষেপ থেকে ফেরাতে পারে। সেটি হলো, এই যন্ত্র দিয়ে কারচুপি করা সম্ভব, সেটি প্রমাণ করে দেখিয়ে আসতে হবে। তবে নানা আয়োজনে ইভিএমের সমলোচনায় মুখর হলেও তিনি এই চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি নন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বেশ কয়েক দিন ধরেই দাবি করে আসছেন ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব। তাই এই যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত হবে না।

কমিশন আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বদিউল একজন প্রযুক্তিবিদকে নিয়ে এসে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আয়োজনে ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি করেন।

তবে যে প্রযুক্তিবিদকে তিনি নিয়ে আসেন, তিনি ইভিএম দেখেনইনি। আর তিনি যেসব যুক্তি তুলে ধরেন, তার মধ্যে প্রধান ছিল, দেশের অর্থনীতি এখন চাপে। এত টাকা দিয়ে নতুন মেশিন কেনার দরকার নেই।

এর মধ্যে সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব, এটা যদি বদিউল প্রমাণ করে দিতে পারেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন ভোটে এই যন্ত্র ব্যবহার করবে না।

বদিউল কি এই চ্যালেঞ্জে যাবেন- জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি না বলে দেন।

সুজন সম্পাদক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

তিনি যুক্তি দেখান, ইভিএম নিয়ে তার প্রমাণ করার কিছু নেই। এটা প্রমাণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

বদিউল বলেন, ‘ইভিএম তাদের নিয়ন্ত্রণে। এটা তাদের দায়িত্ব। পেপার ট্রেইল ছাড়া সুষ্ঠু ভোট সম্ভব এটা ওনাদের দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘ওনারা প্রমাণ করুক। দায়িত্ব ওনাদের। এই যে আমি অভিযোগ করেছি ওনারা প্রমাণ করবেন সঠিক কি না৷’

যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে কেন অভিযোগ করেছেন- এ বিষয়ে বদিউল অবশ্য কিছু বলেননি।

ইভিএমের দুর্বলতা আছে কি না, সেটি যাচাইয়ে এর আগেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রযুক্তিবিদ নিয়ে গিয়ে ইভিএম পরীক্ষার সুযোগ দিয়েছিল তারা। তবে কোনো দল সেই সুযোগ নিয়ে ইভিএমের দুর্বলতা প্রমাণ করতে পারেনি।

আপনি কেন এই সুযোগ নেবেন না- জানতে চাইলে বদিউল বলেন, ‘আমরা কীভাবে পরখ করব? ইসির (নির্বাচন কমিশনের) প্রতি তো বিশ্বাস নাই৷ ইভিএমের প্রতি কেমনে আসবে।’

চ্যালেঞ্জ দেয়ায় উল্টো নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেন বদিউল। বলেন, ‘তারা এখন ভিকটিম ব্লেমিং করছে।’

ইভিএমকে নিকৃষ্ট যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি

বদিউলের অভিযোগ কী ছিল

রোববার বদিউল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনায় বলেন, ‘ইভিএম একটি দুর্বল যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন বলছে, ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই। এটি নির্ভুল প্রমাণের দায়িত্ব কমিশনের।’

তিনি বলেন, ‘এই মেশিনে পেপার ট্রেইল দুর্বলতা। এ ছাড়া হাতের ছাপ না মেলায় গত নির্বাচনে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ভোট দিয়েছে।’

কিন্তু আসলে ২৫ শতাংশ নয়, মোট ভোটারের এক শতাংশের হাতের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার পরিচয় নিশ্চিত করতে নিজের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে পারবেন।

এই বিষয়টি জানালে বদিউল পরে বলেন, ‘সেই চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স কে করবে?’

বদিউলকে ইসির চ্যালেঞ্জ

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বদিউলের অভিযোগের জবাব আসে সোমবার। সেদিন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘যিনি বলছেন, তাকে প্রমাণ দিতে হবে। উনি যদি আমাদের কাছে এসে দেখতে চান, জানতে চান, আমরা উত্তর দেব। উনি যদি প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে বাতিল করে দেব।

‘বাইরে কে কী বলল, তা দেখে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে আমাদের কাছে এসে যদি বলে যে প্রমাণ করতে পারে যে ইভিএমে কারচুপি করা যায়, তা প্রমাণ করে দিয়ে গেলাম, তাহলে ইভিএমে ভোট হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর