তামাক থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায়, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর থেকে উত্তরণে দরকার সর্বস্তরের সচেতনতা বৃদ্ধি। তবেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’
রোববার ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘সরকার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে এবং আইন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ৩০-৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তবে তামাকশিল্পের সাথে অনেক মানুষ জড়িত আছে। এ মানুষগুলোর বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা করণীয়, সেগুলো করা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব। তামাকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।’
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, এমপি।
বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিসিআইসির অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস-এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।