চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের এক সাবেক ব্যক্তিগত সহকারীর (এপিএস) ওপর হামলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, টাকা চাইতে গেলে উল্টো মারধরের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
বরিশাল নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক এপিএস শফিকুল ইসলাম পিন্টু। প্রমোশনে এপিএস পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষা ভবনে যোগদান করেছেন তিনি। কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিমুল করিম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
অভিযোগে শফিকুল বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বিপরীতে মুসলিমপাড়ার বাসার সামনে ছিলাম। এ সময় মাসুদ, নাসির, সোহাগ, ইমরান, শুভ, সোহান, জুয়েল ও রেজবিসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে আমার ওপর। হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশে মাথার ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত করাসহ এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেছে। তার ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
‘কী কারণে হামলা করেছে তা বলতে পারছি না। এদের সঙ্গে আমার কখনও কিছু হয়নি। অনেককে আমি ঠিকমতো চিনিও না।’
অভিযুক্ত নাসির পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম পিন্টু সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভনে দুই বছর আগে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু করোনাসহ নানা অজুহাতে চাকরি দেয়নি। এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে জানতে পারি সে স্যারের (প্রতিমন্ত্রী) এপিএস নেই। বাসায় গেলেও পাইনি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসার সামনে গিয়ে দেখি কয়েকজনের সঙ্গে এপিএস শফিক কথা বলছে। তখন টাকা ফেরত চাইলে তার সঙ্গে থাকা লোকজনসহ শফিক আমাকে মারধর করে।’
ওসি আজিমুল বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা থাকলে অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’