নওগাঁর মান্দায় মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
দেলুয়াবাড়ী বাজারের মুরগিপট্টি এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩৫ বছরের আতিকুর রহমান উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজি গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
হামলায় আহতরা হলেন কুসুম্বা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনুল হক, একই গ্রামের জিল্লুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন। তাদের মধ্যে আইনুল হককে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ৩০ বছরের মেহেদী হাসান পাইলট ও তার বাবা আব্দুল মজিদ।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দেলুয়াবাড়ী বাজারের একটি স্কুলের সামনে দুই মোটরসাইকেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতপরিচয় মোটরসাইকেলের চালককে মারধর করে দেলুয়াবাড়ী বাজারের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।
এ সময় হাজি গোবিন্দপুর বালকাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেন বাধা দিলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেলুয়াবাড়ী বাজারের মুরগিপট্টি এলাকায় কির্তলী গ্রামের শরিফ উদ্দিন ও দেলুয়াবাড়ী বাজারের পাইলটের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে রুবেল হোসেনের বড় ভাই আতিকুর রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আতিকুর রহমানকে রামদা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাকে বাঁচাতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনুল হক, বালাকাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক আতিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আতিকুর রহমান নিহতের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।’
এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।