বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাদে ‘মদ খাওয়া নিয়ে’ ঢাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহড়া

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২২ ২২:৩৭

দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাদে বসে ‘মদ খাওয়া নিয়ে’ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি এবং মহড়া দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুরো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা এবং সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন এসে দুই গ্রুপকে শান্ত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার সমর্থক ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ফরিদসহ ১০-১২ জন রাত ১টার দিকে হলের মূল ভবনের ছাদে মদ পান করছিলেন এবং উচ্চশব্দে গান করছিলেন। এ সময় হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী রাকিবুল হাসান রাহীসহ তৃতীয় বর্ষের আরেক দল কর্মী মদ নিয়ে সেখানে যান।

এ সময় ফরিদ রাকিবুলদের ছাদ থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু রাকিবুলরা ছাদ থেকে যাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ফরিদ রাকিবুলকে থাপ্পড় দেন।

এরপর রাকিবুল থাপ্পড় দেয়ার ঘটনা তার গ্রুপের সিনিয়র ভাইদের জানালে সেই গ্রুপের কয়েকজন কর্মী এসে ফরিদদের কাছে থাপ্পড়ের কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান নেন।

পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঘটনার বিষয়ে আসাদুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘ছাদে বসা নিয়ে একটু তর্কাতর্কি পরে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা তাদের ছাদে না আসতে মানা করেছিলাম। কিন্তু তার পরও তারা এলে আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। এরপর একটু হইহুল্লোড় হয়েছে। আর কিছু না। আর মদ খাওয়ার বিষয়টা ভুল।’

এই বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন বলেন, ‘এখানে মাদক সেবন নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। হলের ছাদে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে গান গাওয়া নিয়েই ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটে। আমরা গিয়ে তাদের থামিয়ে দিয়েছি।’

সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুর রহীম বলেন, ‘ঘটনাটা আমি শুনেছি। শুনেছি উচ্চশব্দে গান গাওয়া নিয়ে এটি হয়েছে। আর মদ খাওয়া-সংশ্লিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে আমরা আপাতত হলের ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ করে দিয়েছি এবং তালা দিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর