জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, নিত্যপণ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে শাহবাগ মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত সড়কে মিছিল করেছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগে আসেন। সেখান থেকে মিছিল শুরু করেন তারা।
মিছিলটি শুরুতে সায়েন্স ল্যাব গিয়ে শাহবাগে ফিরে আসে। ওই সময় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা কয়েক মিনিট শাহবাগে অবস্থান নিয়ে ফের সায়েন্স ল্যাবের দিকে যান।
সায়েন্স ল্যাব পৌঁছানোর আগে বাটা সিগন্যালে কিছুক্ষণ দাঁড়ান মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন তারা।
পরে সায়েন্স ল্যাবে গিয়ে ১৫ মিনিট রাস্তা আটকে অবস্থান নেন তারা। এরপর সেখান থেকে ফিরে শাহবাগ এলে পুলিশ তাদের সড়কে অবস্থান না করতে অনুরোধ করে।
এরপর নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরীবাগ ও পল্টনের দিকে চলে যান।
বাটা সিগন্যাল মোড়ে দাঁড়িয়ে দেয়া বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশনের (ওমর গ্রুপ) সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘এই হরতাল আমাদের সবার; এই হরতাল জনগণের। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আমাদের এই হরতাল। তাই এই হরতালকে সফল করতে হলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দরকার।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলতে পারেন, গাড়ি চলছে। তাহলে কিসের হরতাল? কিন্তু আমরা বলতে চাই, বাসে বসে আছে যে মানুষটি, তারাও বলছে এই হরতালের ন্যায্যতা আছে।
‘গতকাল (বুধবার) আমরা যখন হরতালের সমর্থনে প্রচারণা করছিলাম, তখনও মানুষ আমাদের এই হরতালের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহসভাপতি ফাহিম বলেন, ‘আজ ঘরে বসে থাকার সময় না। সারা দেশের মানুষ অসহনীয় পর্যায়ে আছে। অথচ সরকারের এ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।
‘এই সরকারকে আর এভাবে চলতে দেয়া যায় না। এই অন্যায্যতার বিরুদ্ধে আমাদের আজকের এই হরতাল।’