রাঙ্গামাটিতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত গ্রুপ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপিডিএফের একজন নিহতের দাবি করেছেন সংগঠনেরই এক নেতা।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে লংগদু উপজেলার ছোট কাট্টলী মোন এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছছের হোসেন। তবে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমার দাবি, জেএসএসের হামলায় তার দলের কর্মী ৪৫ বছরের শ্যামল চাকমা নিহত হয়েছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ছোট কাট্টলীতে ইউপিডিএফ কর্মীদের অবস্থানকালে জেএসএসের একটি দল হামলা করে। এতে গুলিতে শ্যামল চাকমা নামের একজন সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন।’
রাতে গোলাগুলির ঘটনাটি ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ কেউ দাবি করেন গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের ৬ জন নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বা জনপ্রতিনিধি কেউ এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি।
৬ জন নিহতের এ তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অংগ্য মারমা।
এদিকে ইউপিডিএফের একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত নয় জানিয়ে পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছছের হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি গোলাগুলিতে নিহত হয়ে থাকে তাহলে লাশটি কোথায়...? সঠিক প্রমাণ ছাড়া বলতে পারছি না কেউ নিহত হয়েছে কি না।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাধন কুমার চাকমাও।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তবে নিহতের বিষয়টি এখনও জানি না। শুনেছি ইউপিডিএফ গ্রুপের একজন নিহত হয়েছেন, কিন্তু সঠিক কি না জানি না।
‘সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে যাবে। তাদের জন্য অপেক্ষা করতেছি। ঘটনাস্থলে গেলে তবে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক জেএসএসের কোনো নেতার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সানজিদ আহমেদ বলছেন, গোলাগুলির ঘটনাটি লংগদু উপজেলায় নয়, ঘটেছে সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ত্রিপুরা ছড়া এলাকায়।
তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ত্রিপুরা ছড়া এলাকায় জেএসএস-ইউপিডিএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে নিহতের বিষয়টি জানি না।’
তবে ওসির এ দাবি সঠিক নয় জানিয়েছেন বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমর চাকমা। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনা ঘটেছে লংগদু কাট্টলীতে।’