ফরিদপুর শহরে সাজেদা বেগমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, স্ত্রীকে হত্যা করে প্রতিবেশীদের নিজে জানিয়েছেন লালন মোল্লা। পুলিশ গিয়ে তাকে মরদেহের পাশেই বসা অবস্থায় পেয়েছে।
শহরের অম্বিকাপুর খাদ্যগুদাম এলাকায় মঙ্গলবার ভোররাত ৫টার দিকে নিজ ঘরে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী লালন মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (এসআই) জগন্নাথ জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে লালন নিজে প্রতিবেশীদের জানান। পরে এলাকাবাসী থানায় জানালে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দেখতে পাই। সেখানেই বসা ছিলেন লালন। তাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার তৈরি ছেনি ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআই আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালন জানান, ভোর ৫টার দিকে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীর বাম কানের পাশে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছেনি মাথায় ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। মাথায় কয়েকবার এমনভাবে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।’
এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান এসআই জগন্নাথ।
তিনি জানান, লালন মোল্লার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী এলাকায়। তার স্ত্রী ৪০ বছর বয়সী সাজেদা বেগমের বাড়ি ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ভারদি এলাকায়। প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সন্তান ছিল না।
ফরিদপুর শহরের আলীপুর মহল্লার অম্বিকাপুর খাদ্যগুদামের পাশের এক বাড়িতে তারা প্রায় এক যুগ ধরে আছেন। লালন অটোরিকশাচালক।