বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নেতাকর্মীদের ত্যাগ ও অশ্রু বৃথা যেতে দেয়া হবে না। আমাদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ এই দানবীয় সরকারকে হটাতে হবে।’
‘আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গত ৯ বছরে গুম, খুনের শিকার’ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৪টি পরিবারকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক অনুদান প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফেনী, ভোলা-চট্টগ্রাম ও নেত্রকোণা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র চায় এমন মানুষ দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়। খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে কারাগারে অন্তরীণ না হলেও গৃহ অন্তরীণ রয়েছেন। গতকালও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার কথা বললেও সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। কারণ, এ সরকারের ভয় খালেদা জিয়া বের হলে তাকে সামাল দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। হত্যা, গুম, নির্যাতনের পরও বিএনপিকে দমাতে ব্যর্থ হওয়াই শেখ হাসিনার সরকারের বড় ক্ষোভের জায়গা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জেগে উঠছি, সবাইকে জেগে উঠতে হবে, নেতাকর্মীদের ত্যাগ ও অশ্রু বৃথা যেতে দেয়া হবে না। আমাদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ এই দানবীয় সরকারকে হটাতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন নয়, জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরেছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘এই অনির্বাচিত দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দলের গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হবে।’