পাবনার সুজানগরে পূর্বশত্রুতার জেরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
হামলায় নিহতের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আয়েনউদ্দিন, আব্দুর রহিমসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৬৩ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ভবানীপুর গ্রামে। ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
জাহাঙ্গীরের ছেলে জুবায়ের খন্দকার বলেন, ‘অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বাবা। পরে পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থিরা চাঁদা দাবি করে। জুয়া ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত আশরাফ, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন, সোবহানসহ কয়েকজনের সঙ্গে বাবার বিরোধ চলছিল।
‘এর জেরেই সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় আশরাফ ও রবিউল মাস্টারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ট্যাঁটা, বররা, হাঁসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে বাবা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় কোপে মতি চাচাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মতি চাচার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনসংক্রান্ত মামলা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জেরেই আজকের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে।’