চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কওমি মাদ্রাসার পুকুর থেকে মোহাম্মদ হাসান ও মোহাম্মদ হোসাইন নামে দুই সহোদরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পুকুর থেকে শুক্রবার রাতে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
হাসান ও হোসাইন বনগ্রাম এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে। হাসানের বয়স ৯ বছর ও হোসাইনের ৬ বছর।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রঘোনা ইউপি সদস্য ইসমাঈল হোসেন ইমু।
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওরা সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাদ্রাসার পুকুরে তাদের আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। খ্রীষ্টিয়ান মিশনারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, ওরা নামাজে গিয়েছিল। আবার কেউ কেউ বলছে, তারা সেখানে খেলতে গিয়েছিল। তবে মাদ্রাসার প্রবেশপথের সিসিটিভি ফুটেজে তাদের দেখা গেছে। পুকুরে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
মাদ্রাসার পুকুরে দুই ভাইয়ের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি রাতেই স্থানীয় সাংবাদিকরা রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কিকে জানান। শনিবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত অভিযোগ না পাওয়ার কথা বলে এ বিষয়ে পুলিশ কোনো খোঁজ নেয়নি।
বেলা দেড়টায় নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাচ্চা দুটা নাকি পানিতে পড়ে মারা গেছে, আমাদের না জানিয়েই দাফন করে ফেলছে।’
তিনি বলেন, ‘রাতে মিডিয়ার কয়েকজন ফোন করেছিলেন।’
ওই দুই শিশুর বড় ভাই মো. শিফন বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে মসজিদ ও আশপাশের সব জায়গায় খুঁজেছি, কোথাও পাইনি। হুজুরকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়ার জন্য বলছি, তিনি করেননি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখাইতে বলছি, তাও বলছেন নামাজের পর।’
বনগ্রাম কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ওরা আমাদের কাছে এসেছে, ৮টার সময়। এর কিছুক্ষণ পরেই এশার আজান হয়। তাদের সিসিটিভির কথা আর মাইকে পাবলিসিটি করার কথা আমিই বলেছিলাম। নামাজের পর ৯টার দিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার সময় পুকুরে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।’