লালমনিরহাটে একটি প্রাইভেট কার থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জব্দ করা ফেনসিডিলের বস্তা ছিনিয়ে নেয়ার পর প্রকাশ্যে ফেনসিডিল সেবনের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
কালীগঞ্জের কাকিনা-মহিপুর-রংপুর মহাসড়কের এসকেএস বাজারে পাশে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রুসূল নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লালমনিরহাট সীমান্ত এলাকা থেকে কয়েকজন মাদক কারবারি ফেনসিডিলের বড় চালান নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেট কারে যাচ্ছিল এমন সন্দেহে লালমনিরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। এ সময় তারা টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে ডিবি পুলিশের সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির পেছনে গেলে তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রংপুর-কাকিনা-মহিপুর, সড়কের এসকেএস বাজারের লোকজন গাড়িটিকে আটকের চেষ্টা করলে শিশুসহ তিন পথচারী গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। উত্তেজিত জনতা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার দাবি তুলে বিক্ষোভ করে এবং গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং প্রাইভেট কারের চালক সফিকুল ইসলাম শফিককে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এ সময় সুযোগ বুঝে স্থানীয় মাদক কারবারিরা মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে এসে প্রাইভেট কার ও ডিবি পুলিশকে ঘিরে ফেলে এবং আটক চালককে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ডিবি পুলিশের সদস্যরা গঙ্গাচড়া থানা ও কালীগঞ্জ থানায় খবর দেন।
এর কিছুক্ষণ পর প্রাইভেট কার থেকে ফেনসিডিলের একটি বস্তা ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের সামনেই মাদক সেবন শুরু করেন ওই মাদক কারবারিরা। পরে স্থানীয় জনতা তাদের মারধর শুরু করে।
ওসি দুলাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসকেএস বাজারটি গঙ্গাচড়া থানায় হলেও মাদক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের হাতে প্রাইভেট কার ও ফেনসিডিলসহ একজনকে আটক করা হয়। পরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামিসহ প্রাইভেট কারটি কালীগঞ্জ থানা পুলিশে দেয়া হয়।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রুসূল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডিবি পুলিশের হাতে আটকের পর স্থানীয়রা ঝামেলা করছিল। পরে খবর পেয়ে একজনকে আটক করা হয়। প্রাইভেট কারসহ ২৮৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে তার নামে মাদক মামলা দেয়া হয়।’