নিরাপদ হলের দাবিতে দিনভর চলা বিক্ষোভ ৭ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সিটি মেয়রের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র তাহসীন আহম্মেদ।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুরোধে শিক্ষার্থীরা ৭ দিনের জন্য বিক্ষোভ স্থগিত করেছে। এই ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিকল্প স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। নতুন করে হল নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্বান্ত এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিক্ষোভকারীরা সকালে জানিয়েছিলেন, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে আলাদা ছয়টি হল রয়েছে; যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। প্রায় প্রতিনিয়তই হলগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে অনেক সময় অনেক শিক্ষার্থী আহত হচ্ছেন।
অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেডিক্যাল কলেজের তিনটি ছাত্রাবাস ও তিনটি ছাত্রী নিবাসে মোট ১ হাজার ৪২৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক সিট রয়েছে। এর মধ্যে ২ নম্বর ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলা বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে গণপূর্ত দপ্তর। ১ নম্বর ছাত্রী নিবাস সম্পূর্ন বসবাসের অনুপযোগী। ২ নম্বর ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার ১৯টি কক্ষের ১৩৬ জন ও ১ নম্বর ছাত্রী নিবাসের ৮০টি কক্ষের ৩২০ জন এখন আসনবিহীন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লিসা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় আমাদের। এখন নিরাপদ হল আমাদের দাবি।’
শিক্ষার্থী এহসান উল্লাহ বলেন, ‘ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। গত রাতেও আমাদের এক সহপাঠীর রুমের পলেস্তারা খসে পড়ে, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় সে। আমাদের একটাই দাবি, আমরা নিরাপদ হল চাই।’
তাহসিন আহম্মেদ বলেন, ‘হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। দ্রুত এই ছাত্রদের পুনঃ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’