চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের ছেলে মাইনুল আলমের বিরুদ্ধে মাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ মিলেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ গুলির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান।
তিনি বলেন, ‘ নিহত জেসমিন আক্তার পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। ২৫ বছর বয়সী মাইনুল আলম তাদের ছেলে। শামসুল আলম মাস্টার সম্প্রতি মারা গেছেন। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে মঙ্গলবার দুপুরে তার ছেলে মাইনুল নিজের মাকে গুলি করেন।
‘গুরুতর জখম অবস্থায় জেসমিনকে কাছের একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত মাইনুল পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
বড় ছেলে মাইনুল আলমের সঙ্গে পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
বোন শায়লা শারমিন রিপা বলেন, ‘মাইনুল মাদকাসক্ত। সকালে মা সোনালী ব্যাংক পটিয়া শাখায় গিয়েছিলেন বাবার ব্যাংক একাউন্টের খবর নিতে। ফেরার পর বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। মাইনুল প্রথমে গুলি করলে তা দেয়ালে লাগে। পরের গুলি মায়ের চোখে বিদ্ধ হয়। রক্তক্ষরণ শুরু হলে মাইনুল পালিয়ে যায়। পরে মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।’
স্বজনরা জানান, পটিয়া পৌরসভার প্রথম মেয়র শামসুল আলম মাস্টার। তিনি এক মাস আগে মারা গেছেন। তার ছোট ছেলে মাশফিকুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থাকেন। ছেলের সঙ্গে মা জেসমিন আক্তার সেখানেই ছিলেন। গত রোজার সময় তিনি দেশে ফেরেন। স্বামীর মৃত্যু হলে তিনি দেশে থেকে যান। আগামী মাসে তার অস্ট্রেলিয়া চলে যাবার কথা ছিল। এর আগে স্বামীর অর্থ-সম্পত্তির খোঁজখবর নিতে গেলে বড় ছেলে মাইনুলের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, মাইনুলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ আছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা ও তাজা গুলি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।