বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিকারির বস্তায় লুকানো ছিল ৩৫টি হীরামন টিয়া

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩৫

হীরামন টিয়ার বসবাস ভারতে হলেও এই প্রজাতির উল্লেখযোগ্য পাখি আগস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসে।

চুয়াডাঙ্গায় শিকার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৩৫টি হীরামন টিয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন ইউএনও শামীম ভুইয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র সভাপতি বখতিয়ার হামিদ বিপুল।

তিনি বলেন, ‘সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা পানকৌড়ির দুই সদস্য জানতে পারি, পাখি শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে শিকারিরা। ওই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কুলচারার মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকি। এ সময় দিগড়ী গ্রামের হযরত, আলা, শাজাহান ও ডোমচারার শরিফুলকে বস্তার মধ্যে করে পাখি ধরে নিয়ে যেতে দেখি।’

বিপুল জানান, বস্তার মধ্যে পাখি নিয়ে যেতে দেখে শিকারিদের পিছু নেন তারা। এ অবস্থায় বস্তাগুলো ফেলে পালিয়ে যায় শিকারিরা। পরে বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫টি হীরামন টিয়া এবং পাখি শিকারের সরঞ্জাম।

পরে পাখিগুলোকে অবমুক্ত করতে বস্তা থেকে বের করে খাঁচায় ঢুকিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেয়া হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়া জানান, পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

শিকারিদের ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়

ইউএনও বলেন, ‘দুপুরে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় বস্তা ও পাখি শিকারের সরঞ্জাম।’

পাখি শিকারের সঙ্গে জড়িতদের তলব করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, হীরামন টিয়ার বসবাস ভারতে হলেও এই প্রজাতির উল্লেখযোগ্য পাখি আগস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসে। মূলত খাবারের সন্ধানেই এরা বাংলাদেশে আসে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবার চলে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর